সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা ॥
ইদানিং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দল হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা চালাচ্ছে। দেশের যত্রেতত্রে টেকনাফে হরতাল অবরোধের শিথিলতা থাকলেও কিন্তু সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে একপ্রকার শব্দ যা আতসবাজীর শব্দ না গুলির শব্দ কিউ বুঝতে না পারায় সীমান্তের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন জানায়, ইদানিং টেকনাফের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হ্নীলায় বিবাহ, জন্ম দিবস, খৎনা সহ নানা অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিষিদ্ধ আতসবাজী ফুটানো হচ্ছে। এ আতসবাজী এতই শক্তিশালী যে, যেমন তার আওয়াজ, তেমনি গতি ও আলো। মনে হয় যেন সীমান্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের সাথে যুদ্ধ বেধেছে। না হয় বিরোধী দলের সাথে প্রশাসনের বন্দুক যুদ্ধ হচ্ছে। বর্তমানে শুভ বিবাহের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে বিবাহ আসর সহ নানা অনুষ্ঠান চলছে। এতে ফুটানো হচ্ছে শক্তিশালী আতসবাজী। এ আতসবাজীর মুখে যখন আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়, তখন সাথে সাথে বিষ্ফোরিত হয় ঐ আতসবাজী। বিষ্ফোরিত হওয়ার সময় এমন আওয়াজ হয় যে, তখন সীমান্তের লোকজনের ঘুম ভেংগে যায়, শিশুরা কাঁদতে থাকে। এর আওয়াজে অনেক শিশুর কান ফেঁটে গেছে। আবার অনেক কুড়ে ঘর থর থর কাঁপা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সর্দার-মাতবরদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, সাধারণ লোকজনের অনুষ্ঠানে এই সব ফুটানো হয় না। এসব আতসবাজী ফুটানো হচ্ছে যারা মরণ নেশার ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের অনুষ্ঠানে এসব ফুটানো হয়। তাদের কাছে কোটি কোটি টাকা থাকায় তারা করো কথা কেহ কর্ণপাত করছেনা। উল্লেখ্য যে, এ সমস্ত অনুষ্ঠান গুলোর বেশীর ভাগই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের। এদের অনুষ্ঠানে এই ধরণের আতসবাজী বেশী হয়। এলাকার সাধারণ লোকজন যারা এই আতসবাজী ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আতসবাজী ফুটানো সম্পর্কে আমি অবগত নয়। এই ব্যাপারে আমি খতিয়ে দেখছি, কোথাও খবর পেলে পুলিশকে জানাবেন। সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত: ১৫/০২/২০১৫ ১২:৪১ অপরাহ্ণ
পাঠকের মতামত